Skip to content Skip to sidebar Skip to footer

হার্ডওয়্যার কি

কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।

কেসিং

মাদারবোর্ড

১.মাদারবোর্ড হল ব্যক্তিগত কম্পিউটারের মত জটিল ইলেকট্রনিক সিস্টেম এর মূল সার্কিট বোর্ড(পিসিবি)। মাদরবোর্ডকে কখনও কখনও মেইনবোর্ড বা সিস্টেম বোর্ড -ও বলা হয়। তবে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে এটিকে লজিকবোর্ড[১] বলা হয়। মাদারবোর্ডের মাধ্যমে কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা হয়।

সাধারণ ডেস্কটপ কম্পিউটারে মাদারবোর্ডের সাথে মাইক্রোপ্রসেসর, প্রধান মেমরি ও কম্পিউটারের অন্যান্য অপরিহার্য অংশযুক্ত থাকে। অন্যান্য অংশের মধ্যে আছে শব্দ ও ভিডিও নিয়ন্ত্রক, অতিরিক্ত তথ্যভান্ডার, বিভিন্ন প্লাগইন কার্ড যেমন ল্যান কার্ড ইত্যাদি। কি-বোর্ড,মাউসসহ সব ইনপুট/আউটপুট যন্ত্রাংশও মাদারবোর্ডের সাথে যুক্ত থাকে।

মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসুস, গিগাবাইট, ইন্টেল, ইসিএস ইত্যাদি। আসুস বর্তমানে পৃথিবীর সব চেয়ে বড় মাদারবোর্ড প্রস্তুতকারক কোম্পানি।

প্রসেসর

প্রসেসর হলো কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। মূলত একে CPU =  Central Processing Unit (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) বলে। প্রকৃত অর্থে মাইক্রো প্রসেসর একটি সয়ংসম্পন্ন এবং প্রোগ্রামেবল গাণিতিক ইন্জিন। যা ইন্সটাকশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পাদন করে। অর্থাৎ আমরা যখন কম্পিউটার চালানোর সময় বিভিন্ন কমান্ড দিয়ে থাকি, সেগুলোকে প্রসেসর প্রসেসিং করে আমাদের ডিসপ্লেতে শো করে।

প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো- intel এবং AMD. তবে আমাদের দেশে intel প্রসেসরের জনপ্রিয়তা একটু বেশি। intel এবং AMD এর মধ্যে পার্থক্য এবং এই দুইটা প্রসেসর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পরে আরেকটি আর্টিকেলে  আলোচনা করবো। যাই হোক এখন তাহলে মূল টপিকে ফিরে আসি।

কুলিং ফ্যান

কম্পিউটারের মৌলিক অংশ সিপিউ। সিপিউ ব্যতীত কম্পিউটার কল্পনা করা অসম্ভব।কম্পিউটারের সকল কাজকর্ম সম্পাদন হয় এই সিপিউ এর মধ্যে। তাই এই অংশ সব সময় ঠান্ডা রাখা জরুরি। এই ঠান্ডা করার কাজটি করে থাকে কুলিং ফ্যান।

র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি

র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি(ইংরেজি: Random access memory), সংক্ষেপে র‌্যাম (RAM) হল এক ধরনের কম্পিউটারের উপাত্ত (ডাটা) সংরক্ষণের মাধ্যম। র‌্যাম থেকে যে কোন ক্রমে উপাত্ত “অ্যাক্সেস” করা যায়, এ কারণেই একে র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি বলা হয়। র‌্যান্ডম শব্দটি দিয়ে এখানে বুঝানো হয়েছে – যে কোনো উপাত্ত (তার অবস্থানের উপরে নির্ভর না করে) ঠিক একই নির্দিষ্ট সময়ে উদ্ধার করা যায়। রক্ষনাত্নক দৃষ্টিতে, আধুনিক ডির‍্যামগুলো র‍্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি নয় (যেভাবে এগুলো ডাটা রিড করতে পারে)। একইসাথে, বিভিন্ন ধরনের এসর‍্যাম, রম, ওটিপি এবং নর ফ্ল্যাশ ইত্যাদি র‍্যান্ডম এ্যাকসেস মেমোরি। র‍্যামকে ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয় কারণ এতে সংরক্ষিত তথ্য বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর থাকে না। আরো কিছু নন-ভোলাটাইল মেমোরি (যেগুলোতে


হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ

This image has an empty alt attribute; its file name is download-4-1.jpg

১৯৯৭ সালের ডিসেম্বল ও লেভেল করা একটি হার্ড ডিস্ক

হার্ড ডিস্ক (এইচডিডি), হার্ড ডিস্কহার্ড ড্রাইভ বা ফিক্সড ড্রাইভ হলো ডাটা সংরক্ষণের যন্ত্র যা তথ্য জমা এবং পরবর্তী সময়ে পড়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। হার্ড ডিস্কে সমকেন্দ্রিক একাধিক চাকতি থাকে। একে প্লেটারস বলে। এগুলো চৌম্বকীয় ধাতু দিয়ে আচ্ছাদিত থাকে। প্লেটারসগুলো চৌম্বকীয় হেডস বা মাথার সাথে জোড়া দেয়া থাকে। এগুলোর সাথে আর একটি সক্রিয় একচুয়েটর আর্ম বা হাত থাকে। এই একচুয়েটর হাত প্লেটারগুলোর উপরিভাগ থেকে তথ্য পড়তে এবং তথ্য জমা করতে ব্যবহৃত হয়[২]। ডাটাগুলো ড্রাইভে স্থানান্তরিত হয় র‍্যানডম-একসেস প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে। এর মানে হল ডাটা যখন ড্রাইভে রাখা হয় এগুলো পর পর সাজানো হয় না বরং যেকোন খালি জায়গায় ডাটা জমা করা হয়। হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ কম্পিউটার বন্ধ করার পরও ডাটা সংরক্ষন করে রাখে।

আইবিএম সর্ব প্রথম ১৯৫৬[৩] সালে হার্ড ডিস্ক উদ্ভাবন করে এবং ১৯৬০ দশকে সাধারন কম্পিউটারের দ্বিতীয় সংরক্ষন মাধ্যম হিসেবে কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহৃত হতে থাকে। প্রতিনিয়ত এটির উন্নয়নের ফলে আজকের দিনের সার্ভার থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত কম্পিউটারে এর ব্যবহার লক্ষনীয়। বর্তমানে অধিকাংশ কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণের স্থায়ী (non-volatile) ব্যবস্থা হিসাবে হার্ড ডিস্ক ব্যবহৃত হয়। হার্ড ডিস্ক ছাড়াও বর্তমানে ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার, মিউজিক প্লেয়ার প্রভৃতি যন্ত্রে হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করা হয়। ২০০টি কোম্পানীরও বেশি কোম্পানী এই ড্রাইভ বিভিন্ন সময় প্রস্তুত করেছে। বর্তমানে এটি প্রস্তুত করছে বেশকিছু খ্যাতিমান কোম্পানী যাদের মধ্যে সিগেট, তোশিবা এবং ওয়েষ্টার্ন ডিজিটাল উল্লেখ্যযোগ্য। ২০১৩ সালে বিশ্বব্যাপি ডিস্ক স্টোরেজের আয় ছিল $৩২ বিলিয়ন, এটি ২০১২ সাল থেকে ৩% কম ছিল।[৪]

একটি হার্ড ড্রাইভের প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হল এর ধারণক্ষমতা ও কার্যকারিতা। ধারণক্ষমতাকে উল্লেখ্য করা হয় ১০০০ ইউনিটের উপসর্গ দিয়ে যেমন ১ টেরাবাইট ড্রাইভের ধারণক্ষমতা হল ১০০০ গিগাবাইট। এই ধারনক্ষমতার সবটাই ব্যবহারকারীর জন্য পুরোপুরি থাকে না কারণ ফাইল সিস্টেম এবং কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও অভ্যন্তরীন বাড়তি জায়গা ব্যবহার করা হয় ভুল সংশোধন ও পুনরুদ্ধার কাজের জন্য। কার্যকারিতাকে বোঝানো হয় হার্ড ড্রাইভের একসেস টাইম ও ল্যাটেন্সি বৈশিষ্ট্যের উপর। একসেস টাইম হল কতটুকু সময়ে একটি হেড কোন নির্দিষ্ট ট্র্যাক বা সিলিন্ডারের যায় এবং ল্যাটেন্সি হল একটি সেক্টর কত দ্রুত হেডের নিচে আসে সেই সময়ের সমষ্টি। ল্যাটেন্সির ব্যাপারটি হার্ড ড্রাইভের রোটেশনাল স্পিড যা রিভোলুশন পার মিনিট দিয়ে মাপা হয় তার সাথে সম্পর্কিত। এছাড়াও হার্ড ড্রাইভে কত গতিতে ডাটা স্থানান্তর (ডাটা রেট) হয় সেটিও অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য বলে বিবেচিত হয়।

আধুনিক হার্ড ড্রাইভের দুটি গঠন প্রায়শই দেখা যায়। ৩.৫ ইঞ্চি এবং ২.৫ ইঞ্চি। ৩.৫ ইঞ্চি মাপের ড্রাইভ ডেস্কটপের জন্য এবং ২.৫ ইঞ্চি সাধারনত ল্যাপটপে দেখা যায়। হার্ড ড্রাইভগুলো স্ট্যান্ডার্ড ইন্টারফেস ক্যাবল যেমন পাটা, সাটা, ইউএসবি বা সিরিয়াল এটাচড এসসিএসআই ক্যাবল দ্বারা সংযুক্ত থাকে। শুরুর দিকের হার্ড ডিস্ক গুলো ছিলো অপসারনযোগ্য মাধ্যম, কিন্তু বর্তমানের হার্ড ডিস্ক গুলো সাধারণত ধাতব বাক্সে আবদ্ধ থাকে।

পাওয়ার সাপ্লাই

কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন যন্ত্রের মধ্যে একটি হল পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট সংক্ষেপে পিএসইউ(PSU)

কম্পিউটার এন্থুসিয়াস্ট বা কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ ছাড়া সাধারনত কম্পিউটার বিল্ডের সময় আমরা জানি না কোন পিএসইউটা আমাদের সিস্টেমের জন্য ভালো অথবা ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা সেলস রিপ্রেসেন্টেটিভদের বলে থাকি তাদের মত করে একটা পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে দিতে। এক্ষেত্রে অনেকেই বাজে মানের পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে অতিরিক্ত লাভ করতে চায়। আর একটা খারাপ মানের পাওয়ার সাপ্লাই যথেস্ট পুরো সিস্টেমকে নস্ট করে দেয়ার জন্য।

যাইহোক, পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কাজ হলো সিস্টেমের সবক্ষেত্রে মাদারবোর্ডের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক পাওয়ার সরবরাহ করা। পাওয়ার সাপ্লাই ওয়াল থেকে সংগৃহীত এসি কারেন্টকে ডিসি কারেন্টে রূপান্তর করে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশে পাওয়ার দিয়ে থাকে।  
এক্ষেত্রে পাওয়ার সাপ্লাই সিস্টেমের চাহিদামত না হলে পাওয়ার সাপ্লাই অথবা কম্পিউটারের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হতে পারে। তাই আপনার পুরো কম্পিউটার সিস্টেমের প্রোটেকশনের জন্য একটি ভালো মানের পাওয়ার সাপ্লাই জরুরী।


কম্পিউটার মনিটর

This image has an empty alt attribute; its file name is images-1.jpg

মনিটর বা ডিসপ্লে হল কম্পিউটারের জন্য একটি ইলেকট্রনিক দৃষ্টি সহায়ক প্রদর্শক। একটি মনিটর সাধারণত ডিসপ্লে ডিভাইস, সার্কিট, আবরণ, এবং পাওয়ার সাপ্লাই দিয়ে গঠিত। কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট ডিভাইস হিসাবেই বেশি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত মনিটর বলতে বুঝি টেলিভিশনের মতো বড় আকৃতির যন্ত্রকে, কিন্তু প্রযুক্তিতে মনিটরের ধারণা অ্যারও ব্যাপক অর্থে ব্যবহার হয়। মনিটর হল সেই সরঞ্জাম যাতে সিস্টেমে চলমান প্রক্রিয়া সরাসরি দেখা যায়।

কিবোর্ড

কিবোর্ড ইংরেজি শব্দ key board থেকে এসেছে, যা এখন প্রায় বাংলা একটি শব্দ। বাংলা করলে দাঁড়াবে চাবির পাটাতন। কতগুলো কি একত্রে একটি ধারকের মধ্যে থাকায় এইরূপ নামকরণ। কম্পিউটারের কিবোর্ড এর কারণে বর্তমানে অনেকেই এর সম্পর্কে জানেন। কম্পিউটারের কিবোর্ড হল একটি টাইপরাইটার যন্ত্র বিশেষ যার মধ্যে কতগুলো বাটন বা চাবির সন্নিবেশ থাকে এবং এগুলো ইলেক্ট্রনিক সুইচ এর কাজ করে। সাধারণ কিবোর্ডেকে বলা হয় QWERTY. কিবোর্ডের ধরন ৫ রকমের হয়। যেমনঃ ফাংশন কি, আলফা নিউমেরিক কি, নিউমেরিক কি, মডিফায়ার কি ও কার্সর মুভমেন্ট কি।

মাউস

মাউস কম্পিউটার পরিচালনায় ব্যবহৃত একটি হার্ডওয়্যার। ১৯৬০ এর দশকের শেষ ভাগে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ডুগ এঙ্গেলবার্ট সর্বপ্রথম মাউস আবিষ্কার করেন। কিন্তু সত্তরের দশকে এটি কেবল জেরক্সের কম্পিউটার ছাড়া অন্যত্র জনপ্রিয়তা পায় নাই। ১৯৮০ এর দশকে আ্যাপল কম্পিউটার তাদের ম্যাকিন্টশ সিরিজে প্রথম এটি উপস্থাপন করে, এর আকৃতি ইঁদুরের মত তাই এর নাম mouse দেয়া হয়েছিল। এটি একটি ইনপুট ডিভাইস, এর মাধ্যমে মনিটরের বা প্রোগ্রামের যে কোন স্থানে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এর কল্যাণে গ্রাফিক্স ইউজার ইন্টারফেস বা GUI সংবলিত আপারেটিং সিসটেম এত দ্রুত প্রসার পায়।

ডিস্ক

প্রিন্টার

প্রিন্টার হল একটি পেরিফেরাল যন্ত্র। যা মানুষের বোধগম্য গ্রাফ, ছবি, শব্দ, লেখা কাগজে (সাধারণত) ছাপায়। সবচেয়ে সাধারণ প্রিন্টার দুটি হল সাদা-কালো এবং রঙিন। সাদা কালো লেজার প্রিন্টারগুলো দিয়ে কাগজপত্রাদি, দলিলাদি প্রিন্ট করা হয়। আর রঙিন ইন্ক জেট প্রিন্টার দিয়ে উচ্চ ও ছবির সমমানের ফলাফল পাওয়া যায়।

স্ক্যানার

কার্ড রিডার

What's your reaction?
0Smile0Lol0Wow0Love0Sad0Angry

Leave a comment